বর্তমান যুগকে তথ্য প্রযুক্তির যুগ বলা হয় । দিন যতই যাচ্ছে প্রযুক্তিতে উন্নত হচ্ছে এবং আমাদের মাঝে তা ব্যবহারের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। কম্পিউটার আসক্তি থেকে মুক্তির জন্য আমাদের যে সব বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
কম্পিউটার হল বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি যন্ত্র যেটির মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে পৃথিবীর সকল তথ্য পেতে পারেন এবং পাশাপাশি আপনি ব্যক্তিগত তথ্য পাওয়ার পাশাপাশি এটির মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। যেটি বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি যন্ত্র।
বর্তমানে পৃথিবীর জনসংখ্যার বৃদ্ধির পাশাপাশি ডিভাইস গুলোর প্রতি মানুষের আকর্ষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এই আকর্ষণ থেকে সৃষ্টি হচ্ছে আসক্তি। তাই আপনার যদি একটি কম্পিউটার থাকে আপনি যদি এর প্রতি আসক্ত হয়ে যান। এতে আপনার বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে যেটি পরে নিরাময় করা অসম্ভব।
একজন কম্পিউটার আসক্তি ব্যক্তি যেসব বিষয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন সেটি হল।
- শরীর স্থূলতা দেখা দেবে
- ঘুম কমে যাবে
- সৃজনশীল চিন্তাভাবনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে
- মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে
- সামাজিক ভাবে মেলামেশা করবে না
- লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগী হয়ে উঠবে
এছাড়াও আরো বিভিন্ন রকমের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে যা তার শারীরিক সমস্যা ছাড়াও তা মানসিক ভাবেও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই আসক্তি থেকে আপনার মুক্তির জন্য যে যে বিষয়গুলো আপনাকে জানতে হবে সেটি হল আজকের পোস্টের বিষয়বস্তু।
- ১.ডিভাইসগুলো চোখের আড়ালে রাখুন
- ২.মেসেজ নয় সরাসরি কথা বলুন
- ৩.সময় ভাগ করে নিন
- ৪.ব্যস্ত রাখুন নিজেকে
- ৫.পরিবারকে সময় দিন
- ৬.ভ্রমণে বের হোন এবং বই পড়ুন
- ৭.অপ্রয়োজনীয় অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলুন
- ৮.বই বা ম্যাগাজিন পড়ুন
- ৯.নতুন ইতিবাচক নেশা তৈরিতে মন দিন:
- ১০মন খুলে ফোন করুন কিংবা সামনাসামনি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিন
- ১১.শরীরচর্চা করুন
- ১২সবশেষে
১.ডিভাইসগুলো চোখের আড়ালে রাখুন
আপনি যে ডিভাইস গুলোর আসক্ত আছেন যেমন মোবাইল, ল্যাপটপ, ইত্যাদি ডিভাইস গুলো থেকে সরে যান। এইগুলো কোন একটি স্থানে রাখুন যেখানে আপনি সহজেই তা পাবেন না। তাই আপনার যদি মনে হয় যে আপনি ডিভাইস গুলোর প্রতি আসক্ত তাহলে এটি আপনি কয়েকদিনের জন্য কোন জায়গায় রেখে আসুন তাহলে আপনার ওই ডিভাইসের প্রতি কিছুটা আসক্তি কমে আসতে পারে।
২.মেসেজ নয় সরাসরি কথা বলুন
মানুষের সাথে মেসেজ করার মাধ্যমে আমরা অনেক সময়ই কথা বলে থাকি। এটি আপনি মেসেজের মাধ্যমে কথা না বললে আপনি মানুষের সাথে সরাসরি কথা বলুন। এতে আপনার মানুষের সাথে কথা বলার স্কিল ডেভেলপমেন্ট পাশাপাশি আপনাকে মানুষের সাথে মিশতে সাহায্য করবে।
৩.সময় ভাগ করে নিন
আপনি একটি দৈনন্দিন রুটিন তৈরি করুন যেটির মাধ্যমে দেওয়া থাকবে আপনি কোন সময় কোন কাজটি করবেন। ফলে আপনি কোন একটি কাজ ছেড়ে আরেকটি কাজ করার মাধ্যমে ওই কাজটি আর করার সম্ভাবনা না থাকায় পরিমাণ বেশি। আপনি যদি কোন ল্যাপটপ বা কম্পিউটার বেশিক্ষণ পর্যন্ত বসে থাকেন তবে আপনি রুটিন অনুযায়ী এখান থেকে উঠে যাবেন এবং আসক্তি কমে যাবে।
৪.ব্যস্ত রাখুন নিজেকে
আপনি প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকুন। এতে আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপের কথা খুব কমই মনে হবে। ফলে আপনি সহজেই আপনার আসক্তি কমে যাবে। এছাড়াও আপনি আপনার কাজ কি বেশি অগ্রগতি প্রদান করুন যাতে করে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের কাছে যেতে না হয়।
৫.পরিবারকে সময় দিন
প্রত্যেকটি ব্যক্তির একটি করে পরিবার থাকে। ফলে অনেক সময় আমরা পরিবারকে সময় দিতে চ চাইনা। আমরা তাদের সাথে তাদের সাথে প্রতিদিন খাবার খাওয়া তো দূরের কথা অনেক সময় তাদের সাথে কথা বলায় আমাদের জন্য কিছু কঠিন হয়ে পড়ে। তাই আপনাকে পরিবারকে সময় দিতে হবে।
৬.ভ্রমণে বের হোন এবং বই পড়ুন
বই পড়ার মাধ্যমে যেমন জ্ঞান অর্জন হয় তেমনি আপনি সহজেই বিভিন্ন আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে পারে। বই পড়ার মাধ্যমে আপনার জ্ঞান কে বিকশিত করতে পারেন এবং বিভিন্ন জায়গায় আপনার সময় কেন মূল্যবান করে দিতে পারেন। তাই আপনাকে কাজের পাশাপাশি প্রতিদিন বই পড়তে হবে।
৯.নতুন ইতিবাচক নেশা তৈরিতে মন দিন:
প্রতিদিন নতুন কোন কিছু করার চেষ্টা করুন যেটির মাধ্যমে আপনি নতুন কোনো কিছু শিখতে পারেন বা অন্যকে শেখাতে পারেন। আপনি যদি প্রতিদিনের একটি নতুন কাজ শিখুন শেখার চেষ্টা করেন তাহলে মাস শেষে আপনি অনেক কাজের দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।
১১.শরীরচর্চা করুন
শরীরচর্চা আমাদের চুলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের অংশ। ব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনারা শারীরিক সুস্থ থাকার পাশাপাশি আমাদের মানসিকভাবে সুস্থ লাভ করতে পারি। কম্পিউটার আসক্তি থেকে মুক্তির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কার্যক্রম। তাই এই আসক্তি থেকে মুক্তির জন্য প্রতিদিন ব্যায়াম করুন।
১২সবশেষে
বর্তমান প্রযুক্তী যতই বাড়ছে মানুষের প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে এ আগ্রহ থেকে সৃষ্টি হচ্ছে এই আসক্তি থেকে বাঁচতে উপরের পদ্ধতি গুলো ফলো করতে পারেন যেটির মাধ্যমে আপনি আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপের আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
পোস্টটি ভালো লাগলে বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করুন এবং যেকোনো প্রয়োজনে আপনি কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন।
ধন্যবাদ