ফেইসবুক অনলাইন ব্যবসা করার উপায় গুলো নিয়ে আজকের পোস্ট । বর্তমানে অনেক ফেইসবুক ব্যবহার করে থাকে ।ফেইসবুক ব্যবহার করে বন্ধুদের সাথে চ্যাট করা, বন্ধুর পোষ্টগুলো দেখা, নিজের পছন্দের ছবিগুলো বন্ধুদের সাথে শেয়ার করা ইত্যাদি অনেক রকমের কাজ করে থাকে।
বর্তমানে অনলাইনে ব্যবসা করার চাহিদা বা প্রয়োজনীয়তা দুটি বাড়ছে কারণ এখন মানুষ ঘরে বসেই তাদের পণ্য অর্ডার করে দিচ্ছে এবং তা বাড়িতে বসে থেকেই গ্রহণ করছে। তাই আপনারা যদি কোন ব্যবসা থাকে এবং তারা যদি ফেসবুকের মাধ্যমে করতে চান তাহলে নিচের নিয়ম গুলো ফলো করতে পারেন আশা করি উপকৃত হবেন।
ফেইসবুক শুধু বন্ধুদের মাঝে কথা বলার পাশাপাশি ফেসবুকের মাধ্যমে আজকে ব্যবসা করাও সম্ভব। ফেসবুকে ব্যবসা করার জন্য প্রথমে আপনাকে ফেসবুক সম্পর্কে একটু ধারণা থাকতে হবে। ফেসবুক কি, ফেসবুকের পেজ কি, ফেসবুকের গ্রুপ কি, পোস্টগুলো কিভাবে শেয়ার করতে হয় এসব সম্পর্কে একটু ধারণা থাকতে হবে।
আপনি ফিজিক্যাল ব্যবসার পাশাপাশি ফেসবুকে ব্যবসা করতে পারেন এই কথাটা সত্যি যেটি বর্তমানে প্রায় বিভিন্ন খবরের প্রকাশিত হচ্ছে আজকের পোষ্টে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে ফেসবুক ব্যবসা করা যায়।
ফেইসবুক মারকেটপ্লেস
ফেইসবুক মারকেটপ্লেস হল ফেসবুক এর একটি সার্ভিস যেখানে ফেসবুকের বিভিন্ন ধরনের ইউজার তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট অনলাইনে বিক্রি করার জন্য লিস্ট করে থাকে। ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে আপনি বিভিন্ন ধরনের ক্যাটাগরি পেয়ে যাবেন সেখানে আপনার ব্যবসা অনুযায়ী যে ক্যাটাগরিতে পরে সেটি সম্পর্কে পোস্ট দিতে পারবেন।
ফেইসবুক মারকেটপ্লেস এর সুবিধা
- ফেইসবুক মার্কেটপ্লেসে এর সুবিধা অনেক প্রথমত আপনি আপনার ফেসবুকে লগইন করার মাধ্যমেই এই মার্কেটপ্লেসে যাওয়ার সুবিধা পাবেন।
- আপনি যে প্রোডাক্ট বিক্রি করতে চাচ্ছেন সে প্রোডাক্ট এর ছবি এবং এইটার বিস্তারিত বিবরণ সহ আপলোড করতে পারেন।
- আপনার প্রডাক্ট কত টাকা বিক্রি করতে পারেন তার মূল্যসহ সেখানে দিতে পারেন।
- আপনার পাবলিশ করা ফেসবুক মার্কেটপ্লেসের প্রোডাক্টগুলো আপনি বিভিন্ন গ্রুপ বা পেইজ শেয়ার করতে পারেন।
- এছাড়াও আপনার প্রোডাক্ট গুলো যদি কাস্টমার এর চাহিদা থাকে তাহলে সেখান থেকেই আপনি বিক্রি করতে পারবেন বা কাস্টমার আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।
বর্তমানে অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ফেইসবুক মার্কেটপ্লেসে ব্যবহার করে তাদের নতুন প্রোডাক্ট গুলো আপলোড করে এবং তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আর সবচেয়ে পছন্দ ক্যাটাগরির মধ্যে রয়েছে কাপড়ের ক্যাটাগরি এবং জুতার ক্যাটাগরি ।এখানে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ বিক্রি হয়।
ফেসবুক গ্রুপ
আপনার যদি ভালো একটি গ্রুপ থাকে এবং গ্রুপে অনেক ভিজিটর বা সদস্য থাকে তাহলে আপনি ফেসবুক থেকে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কারণ আপনার যদি কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করতে চান তাহলে দরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ কাস্টমার। এই কাস্টমার গুলো আপনি আপনার গ্রুপে সহজে পেয়ে যেতে পারেন। তাই দেরি না করে আপনিও আপনার প্রতিষ্ঠানের নামে একটি গ্রুপ তৈরি করতে পারেন।
ফেসবুক পেজ
ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আপনি চাইলে আপনার ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারেন। প্রথমত আপনার প্রোডাক্ট এবং সার্ভিসগুলো কে সুন্দর করে উপস্থাপন করতে হবে এবং সে অনুযায়ী প্রচার চালাতে হবে। এছাড়াও আপনি যদি আপনার প্রোডাক্টগুলো সহ বুস্টিং করতে পারেন তাহলে লাখ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।
বুস্ট করার মাধ্যমে আয়
ফেসবুকে ব্যবসা করার জন্য আপনাকে আপনার যে প্রোডাক্ট আছে সেটি যদি একটু বিনিয়োগ করে বুস্ট দিতে পারেন তাহলে আপনার কাস্টমারের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার ব্যবসার পরিচিতি সহজেই ছড়িয়ে পড়বে। কেননা ফেসবুক বুস্ট এর মাধ্যমে আপনার টার্গেট কাস্টমার গুলো আপনার পেইজে বা ডিরেক্ট পণ্যের উপর আকর্ষিত হবে তাই দেরি না করে আপনি আপনার পোস্ট কে বুস্ট করে নিতে পারেন।
পড়ালেখার পাশাপাশি আয়
বর্তমানে যে শুধু নিজের প্রোডাক্ট লাগে তা নয় বরং আপনি ফেসবুক থেকে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা ক্রেতার কাছ থেকে বিনা মূল্যে পণ্য নিয়ে তা বিক্রি করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন তাই অযথা শুধু ফেসবুকে নষ্ট না করে আপনিও আপনার ব্যবসাকে দাঁড় করাতে পারবেন।
পোস্টটি ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং আরো কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে ইনবক্স করুন যতটা সম্ভব আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।।
ধন্যবাদ